ইসলামদিবস

ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২৫ – ইসলামে জায়েজ নাকি হারাম? সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা

ভ্যালেন্টাইন্স ডে: ইসলামের দৃষ্টিতে পর্যালোচনা!

আজকের এই নিবন্ধনে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২৫ – ইসলামে জায়েজ নাকি হারাম? সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা থেকে আমরা কি জানতে পারি। আপনারা সকলে অবগত আছেন যে ভালবাসা ইসলামের দৃষ্টিতে কখনো এবাদত আবার কখনো নিষিদ্ধ হারাম কর্ম। এই নিষিদ্ধ কর্মে একজন পুরুষ এবং একজন নারী জৈবিক ভালোবাসা তথা অবৈধ প্রণয় কর্মে লিপ্ত হয়। মূলত ভালোবাসা দিবসের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অবৈধ প্রেমের যুবক-যুবতী তরুণ তরুণী ও কিশোর কিশোরীকে অনুপ্রাণিত করা হয়। ব্যভিচারের একটি বড় ঠিকাদার বা প্ল্যাটফর্ম। মূলত অবৈধ প্রেমকে বৈধ করার বিভিন্ন আয়ন-কানুন তৈরি করে প্রেম প্রকাশ করার এক বিষাক্ত নাম বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ভ্যালেন্টাইন ডে। মূলত খ্রিস্ট ধর্মের লোকেরা এই অনুষ্ঠান সবচেয়ে বেশি পালন করে থাকে।

ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২৫ – মুসলিমদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ

গুরুত্বপূর্ণ এই Valentine Day সম্পর্কে প্রত্যেকটি মুসলিমদের কিছু কারণেও এবং বর্জনীয় কাজ রয়েছে। এই দিন প্রত্যেকটি মুসলিম ঘরের যুবক যুবতীরা দিলে এবং রাতে একত্রিত হয়। মিলনাকাঙ্খী অসংখ্য যুগলের সবচেয়ে বেশি সময় চুম্বনাবদ্ধ অবস্থায় লিপ্ত থাকে। ফলশ্রুতিতে অবশেষে শয়তান জিতে যায়। শয়তানের জগতের প্রবেশের একটি উত্তম সময় হলো এই ভ্যালেন্টাইন ডে। প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবারের জন্য এই দিনটিতে একটি বিশেষ করণীয় এবং বর্জনীয় রয়েছে। একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এই ক্ষতিকারক দিক হতে রেহাই পেতে পারি। আজকের এই নিবন্ধনে আমরা আপনাদের সামনে পুরো বিষয়গুলো একে একে উপস্থাপন করব। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন যে, “আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেওনা নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ (সূরা বনী ইসরাইল ১৭/৩২।”

ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহ ২০২৫ – কবে থেকে শুরু জেনে নিন

ভালোবাসা দিবস কি মুসলমানদের জন্য পালন করা উচিত? ইসলামিক মতামত

ইসলামে হারাম রিলেশনশিপ কখনোই সমর্থন করে না। বিশ্ব ভালোবাসার দিবস এমন একটি মারাত্মক অপরাধ যে এই দিন বিবাহ ছাড়াই হাজার হাজার তরুণ তরুণী অবৈধ সম্পর্কের জড়িয়ে যায়। তাই ইসলাম কখনোই এ ধরনের দিবসকে সমর্থন করে না। এমন হাজারো ধার্মিক মুসলিম রয়েছে যারা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা প্রদান করে থাকে। কিন্তু তারা জানে না যে মনের অজান্তে কত বড় হারাম কাজে তারা লিপ্ত রয়েছে। কেননা এই সংস্কৃতি ট সম্পূর্ণ বিধর্মীদের।

ভ্যালেন্টাইন ডে বনাম ইসলাম – সত্য কি? বিস্তারিত বিশ্লেষণ

স্বভাবতই এটা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় দিবস। এটা কোন সেকুলার আনন্দের দিবস না। মূলত এই দিবসটি পালন করে থাকে খ্রিস্ট ধর্মের লোকেরা। ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২৫ – ইসলামে জায়েজ নাকি হারাম? সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা তারা তাদের এই দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি সেন্ড ভ্যালেন্টাইন্স ডে যা বিশ্ব ভালবাসা দিবস নামাকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অপরদিকে ইসলামী এর সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এর সম্পর্কে ভয়াবহ ইঙ্গিত মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআনে অবতীর্ণ করেছেন।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করাটা ইসলামের দৃষ্টিতে কতটা গুরুতর অপরাধ?

এ সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে, “যারা মুমিনদের মাঝে অশ্লীলতা কামনা করে, তাদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। সূরা নূর আয়াত নম্বর ১৯।”এই আয়াতের সাথে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সরাসরি মিল রয়েছে। এর পাশাপাশি কুরআনের অসংখ্য আয়াত রয়েছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অসংখ্য বাণী রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি যে ইসলামের সাথে ভালোবাসা দিবসের বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ২০২৫ – ইসলাম ও সমাজের দৃষ্টিতে এর অবস্থান

এই দিবস হতে পরিত্রাণের জন্য অবশ্যই সকলকে সচেতনতা মূলক অবস্থানে উত্তীর্ণ হতে হবে। এর জন্য প্রত্যেকটি পরিবারে তাদের ছেলেমেয়েদেরকে এ সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন উপস্থাপন করতে হবে যাতে করে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো তারা খুব সহজেই বুঝতে পারে। এর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় আমরা ধর্মীয় অনুশাসন পরিবারে না থাকাকেই দায়ী বলে মনে করছে। প্রত্যেকটি পরিবার যদি তাদের ছেলেমেয়েদেরকে এ সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন দিয়ে থাকে তবেই এর ক্ষতিকারক দিক হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ভ্যালেন্টাইনস ডে কি ইসলামে হালাল?

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা একটি রোমান জাহিলে উৎসব। মূলত ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুদণ্ডের সাথে এই উৎসবটি সম্পর্কিত রয়েছে। বিধর্মীরা এই দিবসটিকে এখনো পালন করে ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এই দিবসটিকে জমজমাট ভাবে কাটিয়ে দেয়। এস এ মুসলিম হিসাবে কোনোভাবেই এই উৎসবটি হালাল মনে করে পালন করতে পারেনা। এই উৎসবের সাথে জড়িতে রয়েছে ধর্মীয় বিষয়। একজন মুসলিম চাইলেই তার খেয়াল খুশির অনুযায়ী যে কোন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে না। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহ বলেন, উৎসব ধর্মীয় অনুশাসন, ইসলামী আদর্শ ও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

১৪ই ফেব্রুয়ারি পালন করা কেন হারাম?

যে ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমাদের প্রত্যেককে আমি আলাদা শরীয়ত ও মানহাজ দিয়েছি।” তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে আলাদা শরীয়ত; যা তারা পালন করে থাকে”। যেমন কিবলা, নামাজ, রোজা। অতএব মুসলিম হিসেবে কখনো কাফেরদের অনুকরণে কোন উৎসব পালন করা উচিত নয়। ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২৫ – ইসলামে জায়েজ নাকি হারাম? সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা নিঃসন্দেহে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একটি বিজাতীয় প্রথা যা কোন মুসলিম পালন করলে তো সে কাফের হিসেবে আখ্যায়িত হবে।

ভালোবাসা দিবস ইসলাম কি বলে?

এটি একটি বিদআতী উৎসব শরীয়াতে এর বিন্দুমাত্র ভিত্তি নেই। পক্ষান্তরে পরোক্ষভাবে এটি মানুষকে অবৈধ প্রেম এবং ভালবাসার দিকেই আহ্বান করে থাকে। এ ধরনের উৎসবে মানুষ ইসলামের পরিপন্থী হয়ে অনর্থক কাজে সমস্ত দিন ব্যতিব্যস্ত থাকে। সুতরাং এই দিবস অনুযায়ী একজন মুসলিম কোন নিদর্শনই ফুটিয়ে তোলা জায়েজ হবে না। কেননা একজন মুসলিম হিসেবে তাদের উচিত নিজের ধর্মকে নিয়ে গর্ব করা। আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল এবং সালফে সালেহীনের ইজমার ভিত্তিতে যেকোনো উৎসব ব্যাক্তি কেন্দ্রিক, ঘটনা কেন্দ্রিক, ভাবাবেকেন্দ্রিক, দল কেন্দ্রিক হোক না কেন তার সম্পূর্ণ বেদাত। ইসলামের শুধুমাত্র দুটি ঈদ রয়েছে আর তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস ও ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ ভালোবাসা

এই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাজারে নানাবিধ উপহারের ছেয়ে যায়। পৃথিবীতে চলে এক অন মাতাল সাজসজ্জা। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি প্রাচ্যের দেশগুলোতেও এখন এই অপসংস্কৃতির জোয়ার চলছে। হইচই উন্মাদনা ঝলমলে উপহার সামগ্রী প্রেমিকযুগলের চোখে মুখে থাকে এক টানটান বিরাট উত্তেজনা। চোখে রঙিন চাহুনি নিয়ে প্রেমিক যুগলেরা এই দিনের অপেক্ষায় থাকে। বছরের এই নির্দিষ্ট দিনটিকে তারা হৃদয়ের কথাবার্তার কলি ফোটাতে বেছে নিয়েছে। মূলত এর ইতিহাসটি প্রাচীন। ১৭০০ বছর আগে পৈত্তলিক রোমকদের মাঝে আধ্যাত্মিক ভালবাসার মাধ্যমে শুরু হয় এর কার্যক্রম। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই এই দিনকে ভ্যালেন্টাইন ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে “ভ্যালেন্টাইনস ডে” বা ভালোবাসা দিবস

আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি ইসলামের দৃষ্টিতে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা সম্পূর্ণ হারাম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন এর কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে আপনাদের সামনে তা তুলে ধরা হবে আর্টিকেলের এই অংশে। এর মাধ্যমে ব্যভিচারের প্রসার ঘটে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরিবেশে সমাজে অশালীন কালচারের এবং আচার অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এই দিবসে ঘটা সবচেয়ে বড় ব্যভিচার হল একজন ছেলে একজন মেয়ের আপসে ভালবাসার নামে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া।

ভালবাসা দিবস উদযাপন করার বিধান – ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রত্যেকটি হোটেল কর্তৃপক্ষ হল রুমগুলো আলাদা বর্ণনাঢ্য সাজে সাজিয়ে থাকে। চলে অবাধে লাইভ ব্যান্ড কনসার্ট, ডেলিশাস ডিনার এবং উদ্দাম নাচ। ঘরের কাঁটা যখন রাত দুটোয় পৌঁছে তখন প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ভালোবাসা দিবসের বরন অনুষ্ঠান শুরু হয়। অশ্লীলতা নোংরামি এবং বেহায়াপনা এমন একটি উচ্চ জায়গায় পৌঁছে গেছে যে প্রেম বঞ্চিত সংঘের ব্যানারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা মিছিল করে। যেখানে বলে যে, কেউ পাবে কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না। প্রেমের ক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে নাউজুবিল্লাহ।

ভ্যালেন্টাইনস ডে : বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নাকি বিশ্ব বেহায়া দিবস

মহান আল্লাহ বলেন, “এবং সহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না (সূরা বাকারা ১৯৫)”। পবিত্রতা অবলম্বন করা এবং ভুলের পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করা কে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ভালোবাসেন। ইসলামে প্রতিটি দিনকে ভালোবাসার জন্য প্রেরণা জাগায়। হাদিসে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তাই কোন মুসলিম হিসাবে ভালোবাসার জন্য একটি নির্দিষ্ট দিনকে খাস করা কোনভাবেই বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। অপরদিকে আমরা যে ভ্যালেনইন দেবা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কেবলমাত্র ইহুদী-নাছারারা তথা বিধর্মী অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্ব ও এদেশীয় পশ্চিমা এজেন্টরাই তাদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করে থাকে। আমরা একজন মুসলিম হিসেবে এখান থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এবং আলাদা।

ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine Day)

আপনারা বিভিন্ন ইতিহাসের ব্যাখ্যা থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত প্রমাণ পেয়ে গেছেন যে তথাকথিত ভালোবাসা দিবস কখনোই বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিল না অপরদিকে মুসলমানদের সংস্কৃতি তো নয়ই। বরং তার সম্পূর্ণরূপে বিধর্মীয় বিজাতীয় পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়ম-নীতি যা মুসলমানদের জন্য হারাম এবং শক্ত কবীরা গুনাহ। মোদ্দা কথা হলো যে সকল ভাই ও বোনেরা এই ভ্যালেনটাইন ডে ভালোবাসা দিবস পালন করবে তারা সম্পূর্ণ কুফরিতে নিমজ্জিত হবে। কেননা এটি ইহুদী নাসারাদের একটি পালনীয় দিবস।

ইসলামের দৃষ্টিতে ভ্যালেন্টাইনস ডে

সমাজে ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আমাদেরকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদেরকে যেন প্রচলিত ঈমান বিধ্বংসী কর্মকান্ড অর্থাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস থেকে হেফাজত করেন আমিন। অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা রয়েছেন যারা বলে আমরা তো তাদের আকিদা বিশ্বাস গ্রহণ করি না শুধুমাত্র এই দিবসটি পালন করি। অথচ এর মাধ্যমে সমাজে অশ্লীলতা ব্যভিচার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। মূলত এর মাধ্যমে মুসলিমদের ব্রেনকে ওয়াশ করা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, যে ব্যাক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে; সেই ব্যক্তি সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ৪০৩১।

ইসলামের দৃষ্টিতে ভ্যালেন্টাইন ডে হারাম কেন | ১৪ই ফেব্রুয়ারি

তথাকথিত সেই সময় অর্থাৎ ১৯৯৩ সালের সাপ্তাহিক জায়গায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের এক বিশাল বিপ্লব ঘটে বাংলাদেশ। তবে শুধু রফিক রেহমানী নয় এর পেছনে সুযোগ সন্ধানী এবং ইসলামবিদ্বেষী আরও বিশাল মহল রয়েছে যারা বিভিন্ন স্বার্থে এই বেহায়াপনা কে ছড়ানোর জন্য এবং বিস্তার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে অবাধে। আমরা যদি এখনই এই মুসলিম জাতিকে সচেতন করতে না পারে তবে অচিরেই আয় আমি জাহেলিয়াতের যুগ আসতে আর বেশি দেরি নয়। সবাই সবার জায়গা থেকে আওয়াজ তুলি এবং এই মারাত্মক হারাম কাজ হতে মুসলিম জাতিকে সচেতন করি।

ভ্যালেন্টাইন : শ’য়তানের উৎসব

এটি একটি শয়তানের উৎসব। শয়তানের সকল কার্যক্রম এই দিন উপলব্ধি করা যায়। কেননা প্রথমে রয়েছে এই দিনে হাজার হাজার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। যা এক দিকে অর্থের অপচয় ঘটায় অপরদিকে এর দ্বারা নৈতিক মূল লক্ষ্যের অবনতি ঘটে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কেনাকাটা খাবারের আয়োজন করা হয় যা সম্পূর্ণ হারাম। এদিন সকল পার্কগুলোতে চলে অবৈধ মেলামেশা। দিনশেষে একজন মুসলিম ঘরের মেয়ে রাত একটা ২টার সময় ঘরে ফেরে। এমন নজির বিহীন হারাম পন্থায় উৎসব পালন করা পৃথিবীতে বিরল।

উপসংহার

পরিশেষে আমরা বলব যে আমেরিকা ইউরোপের লোকজন এই উৎসবে বেশি মেতে ওঠে। কিন্তু কেন আমরা মুসলিম হিসেবে বিলাতের ভ্যালেন্টাইন ঐতিহ্যকে অনুসরণ করি তা বোধগম্য নয়। আমরা মুসলিম ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের নয় এই ন্যূনতম জ্ঞানটুকু আমাদের বড়ই অভাব। পরিশেষে বলবো যখন এই পৃথিবীর বিপুল সংখ্যক মানুষ বিভিন্নভাবে আল্লাহর প্রতিতে গজবে নিমজ্জিত ঠিক সেই সময় অবৈধ বিনোদনের নামে নোংরামি করে অর্থ নষ্ট কোন রকমের মানসিকতা? অতএব যেকোনো মূল্যে এসো সমস্ত অপসংস্কৃতি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা ঈমানী দায়িত্ব। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তালা যেন আমাদেরকে এই অপসংস্কৃতি হতে রক্ষা করেন এবং আমাদের পরিবার সমূহ কে এর ক্ষতিকারক দিক হতে মুক্ত রাখেন এই কামনাই করি – আমিন ইয়া রব্বুল আলামিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *